সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত স্মৃতি নিদর্শনগুলো জাতির অমূল্য সম্পদ। অর্থমূল্য দিয়ে এর পরিমাপ করা যাবে না। আবার নতুন করে এটি সৃষ্টিও করা যাবে না। আমরা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করতে চাই যেন হাজার বছর পরও এটি অবিকল ও অবিকৃত থাকে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চারটি অমূল্য স্মৃতি নিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কে এম খালিদ বলেন, জাতির জনকের ব্যবহৃত জিনিস ও নিদর্শনগুলো দিয়ে জাতীয় জাদুঘরে আলাদা গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরকে তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে ৪৯টি নিদর্শন উপহার দেন। যার মধ্যে ছিল মানপত্র, কাঁসার থালাসহ আরও কিছু জিনিসপত্র। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত সাইকেল, কলম, স্বহস্তে লিখিত ও স্বাক্ষরিত পত্র, বিভিন্ন সূচিকর্ম ও চিত্রকর্ম জাদুঘর কর্তৃক সংগৃহীত হয়েছে। আমরা জাদুঘরের জন্য একটি বাস পেয়েছি যেটি দিয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ছাত্রছাত্রীসহ দর্শনার্থীদের জাদুঘর পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে, যার মাধ্যমে তাদের সামনে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধসহ জাতির সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হবে। আগস্ট শোকের মাস। এ মাসে যখন বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত জিনিস স্পর্শ করি, তখন সারা শরীরে কম্পন অনুভব করি, গভীর শোকে বেদনার্ত হই।

আরও পড়ুন: যতদিন পৃথিবীর ইতিহাস থাকবে, বঙ্গবন্ধুও ততদিন বেঁচে থাকবেন

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত ব্যক্তিগত স্মৃতি নিদর্শনগুলো সংগ্রহ জাতীয় জাদুঘরের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে জাদুঘরের দর্শনার্থীরা বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতিক্ষা ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে আরও বিশদভাবে জানতে পারবে।

বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, জাতীয় জাদুঘরের দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি এবং হস্তান্তর করা নিদর্শনগুলোর একাধিক কপি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে রয়েছে বিধায় সেগুলো জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরও অনেক স্মৃতি নিদর্শন বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে রয়েছে যেগুলো প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্মৃতি নিদর্শনগুলো হস্তান্তর করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান। জাতীয় জাদুঘরের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চারটি স্মৃতি নিদর্শন যথাক্রমে মুজিব কোট, টোব্যাকো পাইপ, পাঞ্জাবি ও পায়জামা গ্রহণ করেন যথাক্রমে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

এমএইচএন/এসএসএইচ