ঢামেক হাসপাতালে ট্রলি ও হুইলচেয়ার দৌরাত্ম্যে রোগীরা অসহায়

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ট্রলি ও হুইলচেয়ার দৌরাত্ম্য এবং দালাল নির্মূলে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ১০টি হুইলচেয়ার।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকা পোস্ট.কম-এ ‘আছে ট্রলি ভয়, বসলেই ১০০-৫০০ গুনতে হয়’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর গত তিনদিনে দালাল চক্রের ১৫ সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জনকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হলেও ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা কোনো রোগী যেন দালালের মাধ্যমে হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য হাসপাতালের ভেতরে অভিযান চালানো হচ্ছে। 

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যোগাযোগ করা হলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালালের মাধ্যমে কোনো রোগী যেন হয়রানির শিকার না হয়, এজন্য আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারদের এব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দালালের মাধ্যমে কোনো রোগী বা রোগীর স্বজন হয়রানির শিকার হলে তার দায়ভার ওয়ার্ড মাস্টারদের নিতে হবে।

রোগী দেখলেই হুইলচেয়ার নিয়ে হাজির হয় দালালরা

তিনি আরও জানান, ট্রলি দৌরাত্ম্য, হুইলচেয়ারে বসিয়ে রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই আছে। এর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা হাসপাতালে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করি।

আমরা এখন পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে আটক করেছি। এদের মধ্যে ১০ জনকে অপ্রয়োজনে হাসপাতাল এলাকায় যেন দেখা না যায় সেজন্য যাচাই-বাছাই শেষে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩ নারী ও দুই পুরুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।

ঢাকা মেডিক্যাল ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, গত দুই দিনে কয়েকজন দালালকে আটক করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের দিয়েছিল। এদের মধ্যে এক মামলায় ৫ জনকে আমরা শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছি। বাকিদের জবানবন্দি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

# অনিয়ম ঘোচাতে জনবল চাইল ঢামেক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নাকচ

জেইউ/জেডএস