খালেদার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, আবেদনে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত সোমবার তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দেয় আইন মন্ত্রণালয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, পূর্বের শর্তে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। গত বছর ২৫ মার্চ ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ২৫ মাস কারাভোগের পর সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে। এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে মেয়াদ আগামী ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার এ সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য গত সপ্তাহে আবেদন করেন। একইসঙ্গে দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কিনা সে প্রসঙ্গেও তারা আর্জি জানান।
এরপর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৩ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, তারা আবার সময়টা (সাজা স্থগিত) এক্সটেনশন (বাড়ানো) করার জন্য, আরও কিছু শর্ত শিথিল করে এক্সটেনশন চেয়েছে। আমরা এখন সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে... উনি যা চেয়েছেন, এটা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।'
আবেদনে তারা কী চেয়েছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঠিক সেরকম তারা তো তাদের পত্রে... শর্ত শিথিল করে করোনাকালীন চিকিৎসা নিতে পারেনি, সেটা জানিয়েছেন এবং তার দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কিনা, সেটা সম্পর্কেও তারা বলেছেন।
সাজা মওকুফের কোনো সুযোগ আইনগতভাবে আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে এদিন মন্ত্রী বলেন, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য তারা চেয়েছে, আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। আমি তো আগেই বলেছি আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় যতখানি সম্ভব সেটুকু ব্যবস্থা করছেন।
এসএইচআর/এনএফ