বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত অংশ নিতে হাজারো মানুষের সব পথ যেন মিশেছে টঙ্গীর তুরগতীরগামী সড়কে। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে পুরুষদের পাশাপাশি পিছিয়ে নেয় নারীরাও। তারা দল বেঁধে টঙ্গীর দিকে যাচ্ছেন আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত নারী মুসল্লিদের বেশ কয়েকটি দল দেখে গেছে।

খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকে হাজারো মুসল্লি দল বেঁধে হেঁটে টঙ্গীর উদ্দেশে রওনা আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে। এসময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী মুসল্লির দলও হেঁটে রওনা হয়েছে টঙ্গীর দিকে।

দেখা যায়, অনেক নারী মুসল্লি ১০-১৫ জনের একটি দল বানিয়ে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছেন। আবার অনেক পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ছেলে মেয়েদের নিয়ে এসেছেন।

আখেরি মোনাজাত অংশ নিতে ইচ্ছুক নারী মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবারই তারা বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসেন। তারা চাইলে ঘরে বসেও টিভি কিংবা রেডিওর মাধ্যমে তারা আখেরি মোনাজাত অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু লাখো মুসল্লি স্বশরীরের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসেন। তাই একটু কষ্ট হলেও নিজেরাই এসেছেন মোনাজাতে অংশ নিতে।

রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে ছেলের বউ ও দুই নাতিনসহ আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে বিমানবন্দর হয়ে হেঁটে টঙ্গীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন হালিমা বেগম। তিনি বলেন, প্রতিবারই কারও না কারও লগে ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আহি। এবার পোলার বউ ও দুই নাতিনরে লগে নিয়া আইছি। প্রতিবার বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লহের দরবারে ফরিয়াদ জানাই।

এদিকে রামপুরা থেকে মোছামত তাহমিনা বেগম তার বাসার আশপাশের ১০ জন নারীকে সঙ্গে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছেন। তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা অনেক বড় ধর্মীয় জমায়েত। তাই প্রতি বছরই বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করি। এবার আমরা ১১ জন নারী মুসল্লি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রামপুরা থেকে এসেছি।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা পালন করছেন ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন জানুয়ারির ২০, ২১ ও ২২ তারিখে। সে হিসেবে এখন যারা মাঠে আছেন তারা সবাই মাওলানা জুবায়েরপন্থি।

এমএসি/এএসএস/এসএম