গ্রেফতার ডাকাত চক্রের সদস্যরা

পূর্বে যানবাহনের চালক হিসেবে কাজ করলেও অর্থের লোভে পরবর্তী সময়ে বেছে নেন ডাকাতির পথ। গত পাঁচ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন পরিবহনে ডাকাতি করে আসছে চক্রটি। দীর্ঘদিন বিভিন্ন পরিবহনে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় খুব সহজে যাত্রী বেশে ডাকাতি করত চক্রটি।

সর্বশেষ ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় যাত্রী বেশে এ কে ট্রাভেলসের একটি বাসে ডাকাতি করে চক্রটি। পরে ২০ ডিসেম্বর এ ঘটনায় আদাবর থানা একটি মামলা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও সাভারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে চক্রটির সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফকরুল কবির শান্ত (২৩), মো. রফিক (২৬), মো. রিয়াজ (২৪), মো. রাসেল (২৭), মো. শাহজামাল (৩০), হারুন অর রশীদ (২৩) ও মো. হুমায়ন কবির (২৫)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত তিনটি ছুরি, তিনটি চাপাতি, একটি সুইচ গিয়ার, দুটি ওয়াকিটকি, ১০টি মোবাইলফোন ও ডাকাতি করা নগদ ছয় হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ডিবির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আনিচ উদ্দীন ঢাকা পোস্টেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে শ্যামলী এলাকা থেকে এ কে ট্রাভেলসের একটি বাসে যাত্রী বেশে উঠে ডাকাত দলের সদস্যরা। বাসে উঠেই প্রথমে তারা চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন। এরপর ডাকাতদের একজন গাড়িটি চালাতে থাকেন। তারা বাড্ডা ও কুড়িলসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাস নিয়ে ঘুরে ঘুরে যাত্রী ওঠায়। বাসে ওঠার পর দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইলফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে এ ঘটনায় আদাবর থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলায় আমরা তাদের গ্রেফতার করি।

এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সদস্যরা একসময় বাসচালক ছিলেন। তাই তারা ডাকাতির জন্য পরিবহনকে বেছে নেয়। এছাড়াও তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন কায়দায় তারা ডাকাতি করে আসছেন। চক্রের মোট সদস্য আছেন ২০ জন। এর মধ্যে সাতজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের প্রত্যেকের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। 

এমএসি/এফআর