গুলশান-২ নম্বরে বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় লাগা আগুন আরও তিনটি ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই ভবনের ১২ ও ১৩ তলায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন রিনা আক্তার। তিনি জানালেন, ফ্ল্যাটটি ফাহিম সিনহার। তিনি অ্যাকমি ওষুধ কোম্পানির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। আমি ১২ ও ১৩ তলায় কাজ করি। ঘটনার সময় আমি ১২ তলায় ছিলাম। হঠাৎ করে বাবুর্চি বলে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে, সবাই আগুন আগুন বলে চিৎকার করছে। আমরা তাড়াহুড়া করে লিফট দিয়ে নামি। আমার ম্যাডাম (শ্যামা রহমান) ফ্ল্যাট থেকে বের হতে পারেননি। তিনি লাফ দিয়েছেন দেখলাম। তার কী খবর আমরা জানি না। আমরা কোনোমতে প্রাণে বেঁচে এসেছি।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২/এ হোল্ডিংয়ের ওই বহুতল ভবনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে সবশেষ ১৯টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানা গেছে।

এদিকে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া রাত সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৬ জনকে।

ভবনের ভেতর থেকে অনেককে বাঁচার আকুতি জানাতে দেখা গেছে। লাফিয়ে পড়েছেন অনেকে। অনেকে আবার ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন  বলে জানিয়েছেন নিচে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনরা।

এআর/এসএম