‘শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাদের আত্মত্যাগ গৌরব বয়ে আনছে’
বেনিন শহীদ শান্তিসেনা দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন
সংঘাতময় দেশে শান্তি স্থাপন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের ১৫১ জন সদস্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের এ আত্মত্যাগ দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। বেনিন শহীদ শান্তিসেনা দিবস উপলক্ষে কোয়ালিশন অব লোকাল এনজিও'স এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে সংগঠনটির চেয়ারম্যান হারুনূর রশিদ বলেন, সারাবিশ্বের সংঘাতময় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশের সেনাদের আত্মত্যাগ বিশ্বে স্বীকৃত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সামরিক ও পুলিশ সদস্য প্রেরণ করে।
তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্বের ১১টি দেশে প্রায় ৭ হাজার বাংলাদেশি শান্তিরক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত ৪০টি দেশে ৫৪টি মিশনে প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার বাংলাদেশি দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশকে বাংলাদেশের গৌরব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে তারা শান্তির জন্য কাজ করছেন। শান্তি স্থাপন করতে গিয়ে অনেক সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ২০০৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর লাইবেরিয়া ও সিয়েরালিওন থেকে মিশন শেষে দেশে ফেরার পথে বেনিন সাগরে বিমান দুর্ঘটনায় দেশের ১৫ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের আত্মদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘ বাংলাদেশকে শান্তি পুরস্কার প্রদান করেছে।
শান্তিরক্ষা মিশনে অবদানের জন্য বাংলাদেশ নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বীরপ্রতীক কর্ণেল (অবঃ) দিদারুল আলম, সুপ্রীম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জি. এম. জাবির, কর্ণেল (অবঃ) আশরাফ উদ্দিন, পিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন আল রশিদ, শ্রমিক নেতা এ. এ. এম ফয়েজ হোসেন, বজলুর রহমান বাবলু, সুলতানা বেগম, ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এইচএন/এসআরএস