আসছে রমজান মাস। এ মাসকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষ করে ডিম, দুধ, মাছ ও মাংসের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। রমজানে যেন এসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও নাগালের মধ্যে থাকে, সে লক্ষ্যে সভা ডেকেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. অমিতাভ চক্রবর্তী ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী রোববার (২১ মার্চ) মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমসহ একাধিক পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং সাপ্লাই চেইন নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বিকেল ৩টার দিকে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সভায় মাছ, মাংস, ডিম, দুধ উৎপাদন ও সরবরাহকারীদের সংগঠনের প্রধানরাও উপস্থিত থাকবেন। তারা তাদের মতামত তুলে ধরবেন। সার্বিক পরিস্থিতি এবং সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, রমজান মাসে যেন কোনোভাবেই মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্যের ঘাটতি না হয়; সরবরাহ বা উৎপাদন এ দুটি বিষয়ে যেন কেউ সিন্ডিকেট করতে না পারে, সেদিকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। দেশে এ মুহূর্তে ডিম, মাংস, দুধের কোনো ঘাটতি নেই। রমজানে চাহিদা বাড়লেও যেন দ্রুত ভোক্তার কাছে এসব পণ্য পৌঁছায়, এ বিষয়ে সভায় বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।

তিনি জানান, রমজানে মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্যের সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের। এ বিষয়েও সভায় বিস্তর আলোচনা হবে। কোনো পণ্যের নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করা হবে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কোনো পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। তবে দাম ও সরবরাহ যেন ঠিক থাকে, সেটাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।

গত তিন সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া ডিমের দামও কোথাও কোথাও বেড়েছে। খাসি ও গরুর মাংসের দামও বাড়তে শুরু করেছে। মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও সামনে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। রমজান শুরু না হতেই এসব পণ্যের দাম বাড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ভোক্তারা।

একে/আরএইচ