বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসায় নেপালের রাষ্ট্রপতি
নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি
নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি বলেছেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে এটা আমার প্রথম ঢাকা সফর। এর আগে ব্যক্তিগত সফরে আমি এখানে এসেছিলাম। এবার এসে আমি যে পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি, বিশেষ করে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, উন্নয়ন ও মানুষের জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন। এ পরিবর্তনের সাক্ষী হতে পেরে আমি আনন্দিত।
সোমবার (২২মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী আয়োজনের যষ্ঠ দিনে অংশ নিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
নেপালের রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। আমাদের মধ্যে ভৌগলিক নৈকট্য বেশি দূরের নয়। ভৌগলিক এই নৈকট্য, কাছাকাছি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দৃঢ় করেছে। রাজনৈতিক সফর এ সম্পর্ককে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
বিদ্যা দেবী ভান্ডারি বলেন, প্রাকৃতিক এবং মানবসম্পদ বিবেচনায় বাংলাদেশ ও নেপাল ধনী দেশ। আমাদের রয়েছে ইতিহাস, সভ্যতা ও সংস্কৃতি ছাড়া আরও অনেক কিছু। সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এসব সম্পদকে আরও অনেক এগিয়ে নিতে পারি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য, ট্রানজিট, জ্বালানি, কানেক্টিভিটি, পর্যটন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানুষে-মানুষে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা চলমান রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে উভয়ের যে আগ্রহ সেটি আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
বিদ্যা দেবী বলেন, জ্বালানি নিয়ে কাজ করার জন্য আমরা একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিলাম। নেপালের জ্বালানি আর বাংলাদেশে গ্যাসের সমন্বয় করতে পারলে দুই পক্ষই লাভবান হবে। তাই জ্বালানি বাণিজ্যে আমাদের জোর দিতে হবে। তাছাড়া দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট চলাচল আরও বাড়ানো যেতে পারে। বাংলাদেশের সৈয়দপুর ও নেপালের বিরাটনগরের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু নিয়ে আমাদের আগ্রহ রয়েছে। কানেক্টিভিটির ক্ষেত্র বাড়ানোর জন্য নেপালের সঙ্গে ভারতের নদীর সংযোগ করা গেলে বাণিজ্য কানেক্টিভিটি বাড়ানো সম্ভব। সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে আমরা কানেক্টিভিটি আরও বাড়াতে পারি, এই প্রেক্ষাপটে নেপালের রেলওয়ে ট্রানজিটের জন্য রোহানপুর পোর্ট অব কল সংযুক্ত করার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
নেপালের রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করছে। নিকট বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের চলমান অনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন আরও এগিয়ে যাওয়ার কামনা করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ক্যারিশমেটিক নেতা ছিলেন। কিভাবে মানুষকে এক করতে হয় তিনি সেটা ভালো জানতেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে আজ সকালে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি।
এনআই/এসকেডি