সোনাগাজীর পৌর মেয়র খোকনের অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক
সোনাগাজী পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন ও দুদক লোগো
ফেনী জেলার সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কমিশনের প্রাথমিক অনুসন্ধানে মেয়র খোকনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের তথ্য ও প্রমাণ পাওয়ায় রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তার সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ ইস্যু করা হয়।
বিজ্ঞাপন
দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সই করা নোটিশ সোনাগাজীর মেয়রের অফিসিয়াল ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দুদক সূত্রে জানা যায়, নোটিশে তার নিজের এবং তার ওপর নির্ভরশীলদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও সেসব অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী আদেশটি পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিবরণী জমা দিতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দিলে দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন ২০১৬ সালে পৌর নির্বাচনে অংশ নেয়ার সময় হলফনামায় বসতভিটা, স্ত্রীর গহনা ও ব্যাংক ব্যালেন্সসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছিলেন বলা জানা যায়। বর্তমানে তিনি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে গত সেপ্টেম্বরে দুদক কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিব বরাবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সড়ক উন্নয়নের নামে লুটপাটের অভিযোগ এনে দুই দফা লিখিত অভিযোগ জমা দেন স্থানীয় লোকজন।
অভিযোগের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম খোকন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়েছে। আল্লাহ সহায় হলে কেউ কিছু করতে পারবে না।
আরএম/এফআর