চলতি বছর শ্রীলঙ্কায় আসিয়ান ও সার্কের সদস্যভুক্ত সাতটি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের কথা রয়েছে। সম্মেলনের আগে এর প্রস্তুতিসহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসছেন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠকটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এ বছর শ্রীলঙ্কায় বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। তাই সম্মেলনের আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ভার্চুয়ালি এ বৈঠক করবেন।

আলোচনায় বিষয়বস্তু কি হতে পারে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য, করোনা মোকাবিলাসহ সামনের দিনগুলোতে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে জোট রাষ্ট্রগুলো কিভাবে কাজ করবে সেসব বিষয় এবারের আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) হচ্ছে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট।

সবশেষ, ২০১৮ সালে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ সম্মেলন নেপালে অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে ভারতে সংগঠনটির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে।

বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড চারটি দেশ নিয়ে ১৯৯৭ সালের ৬ জুন বিমসটেকের যাত্রা শুরু হয়। তখন সংস্থাটির নাম ছিল বিআইএসটি-ইসি। সংস্থাটি চালুর ছয় মাসের মাথায় মিয়ানমার এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের ২য় বৈঠকে নেপালকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে নেপাল ও ভুটানকে সংগঠনটির পূর্ণ সদস্যের পদ প্রদান করা হয়। ২০০৪ সালে সংগঠনের প্রথম আনুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা সংগঠনটির নাম পরিবর্তনের পক্ষে মত দেন এবং বিমসটেক নাম নির্ধারণ করেন।

এনআই/এমএইচএস