সড়কে যাত্রীদের বিক্ষোভ

রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকার এয়ারপোর্ট রোডে বাসে আসন না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মস্থলগামী যাত্রীরা। এ সময় যাত্রীরা কয়েকটি বাস আটকিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে যাত্রীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কর্মস্থলগামী যাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে তারা বাসে আসন পাচ্ছেন না। বাস এলেও অধিকাংশের গেট বন্ধ। ফলে তারা নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে যেতে পারছেন না।

তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, বাস মালিকদের তো কোনো সমস্যা নেই। বাসের ৫০ শতাংশ সিট খালি রেখে যাত্রী নিলেও তো তারা ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নিচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। বাসে উঠে কোনো নির্ধারিত সিট খালি না পেয়ে নেমে যেতে হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খিলক্ষেত থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সজল ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিকুঞ্জের এয়ারপোর্ট রোডে কর্মস্থলগামী মানুষ অফিস টাইমে বাসের আসন না পেয়ে আন্দোলন করেছেন। যাত্রীদের বিক্ষোভে কিছুক্ষণ এই রোডে যানচলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১৮টি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ সিট ফাঁকা রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী দুই সপ্তাহের জন্য গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যা বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নিয়ে বাসে বাসে বাগবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

৬০ শতাংশ বেশি ভাড়ায় মোট আসনের ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি যেসব স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা হয়েছে, সেসবের অধিকাংশই রাজধানীর বাসগুলোতে মানতে দেখা যায়নি। যাত্রীদের জন্য রাখা হয়নি হ্যান্ডস্যানিটাইজার। অনেকে আবার মাস্ক ছাড়াই বাসে উঠছেন।

এমএসি/এফআর