কক্সবাজারে ‘কমিউনিটি সলিডারিটি প্রজেক্ট’, ১৩০ প্রকল্প বাস্তবায়ন
কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় জনগণের জন্য ‘কমিউনিটি সলিডারিটি প্রজেক্ট’ নিয়ে প্রায় তিন বছর আগে কাজ শুরু করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটি ১৩০টি প্রকল্প এরইমধ্যে বাস্তবায়ন করেছে।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজার, উখিয়া ও টেকনাফের গণমাধ্যমকর্মীরা ইউএনএইচসিআর, সহযোগী সংস্থা ব্র্যাক ও এনজিও ফোরামের সম্প্রতি শেষ হওয়া কিছু প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
বিজ্ঞাপন
এগুলোর মধ্যে ছিল হোয়াইক্যংয়ের ৮৫০ ফুট দীর্ঘ ড্রেনেজ সিস্টেম, এইচবিবি রোডের বিভিন্ন স্পট এবং কানজরপাড়া মডেল একাডেমির নবনির্মিত স্কুল ভবন।
ইউএনএইচসিআর বলছে, প্রকল্পগুলোর আওতায় ৯৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহায়তা দেয়া হয়েছে; কোথাও পুনঃনির্মাণ করে দেয়া হয়েছে শ্রেণীকক্ষ ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, কোথাও তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটার লার্নিং সেন্টার, আবার কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়েছে আসবাবপত্র কিংবা স্কুলবাস।
বিজ্ঞাপন
অবকাঠামোগত সহায়তার অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এইচবিবি রোড, আর দরিদ্রতম স্থানীয় পরিবারদের দেয়া হয়েছে আবাসন ব্যবস্থা। ড্রেনেজ সিস্টেম ও ল্যাট্রিন উন্নয়নের মাধ্যমে পানি ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা পেয়েছে বাড়তি প্রণোদনা।
ইউএনএইচসিআর জানায়, কমিউনিটি সলিডারিটি প্রজেক্টগুলোর পাশাপাশি ২০১৮ সাল থেকে উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় ছয় হাজার পরিবারকে ইউএনএইচসিআর জীবিকা নির্বাহ সংক্রান্ত সাহায্য দিয়ে আসছে।
সংস্থাটির ভাষ্য, নিজ বাসস্থানে সবজি উৎপাদনের মতো বিভিন্ন কাজে পরিবারগুলোকে সহায়তা দেয়া হয়েছে, যাতে তারা অর্থ উপার্জনে সক্ষম হতে পারেন।
ইউএনএইচসিআরের লাইভলিহুড অফিসার সুব্রত কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘স্থানীয় জনগণের অবকাঠামোগত সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি ঝুঁকির মুখে থাকা স্থানীয় পরিবারগুলোর জন্য আমরা জীবিকা ও অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরিতে কাজ করেছি। নিজ বাড়িতে শাকসবজি উৎপাদনের মাধ্যমে একটি পরিবার স্বাবলম্বী হতে পারে। নিজের চাহিদা মেটানোর পর তা বিক্রি করে কিছু আয় করতে পারে।’
ইউএনএইচসিআর বলছে, বাজারে ও ক্রেতার কাছে সহজ প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে ইউএনএইচসিআর ও সহযোগী সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) সম্প্রতি টেকনাফ উপজেলায় দুইটি ভেজিটেবল কালেকশন সেন্টার তৈরি করেছে।
এর মাধ্যমে পরিবারগুলো তাদের উৎপাদিত শাকসবজি ন্যায্য দামে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারবেন বলে মনে করে সংস্থাটি।
সিএনআরএসের প্রজেক্ট ম্যানেজার এম এ হাসান মুন্না বলেন, ‘ভেজিটেবল কালেকশন সেন্টার তৈরির এই চমৎকার উদ্যোগটির মাধ্যমে একটি দৃঢ় মার্কেট চেইন তৈরি করা যাবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় দরিদ্র কৃষক ও বিশেষ করে নারীরা একটি টেকসই ব্যবসা ব্যবস্থার সুফল ভোগ করতে পারবেন।’
এনআই/এইচকে