ই-সিগারেট নিষিদ্ধ দাবি’র ওয়েবিনার

তরুণ প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করতে হিট-নট-বার্ন বা ই-সিগারেট একটি নতুন অস্ত্র। সিগারেট কোম্পানিগুলো তরুণদের মাঝে ই-সিগারেট উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছে। যা প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই দেশের তরুণ সমাজকে রক্ষায় এখনই ই-সিগারেট বন্ধ করা জরুরি।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষণা সেল ট্যোবাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রির্সাচ সেল (টিসিআরসি) ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের যৌথ আয়োজনে ‘ই-সিগারেট: স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

ওয়েবিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি বলেন, ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়ার কোনো উপায় হতে পারেনা। বরং এটি নতুন আরেকটি নেশায় আসক্ত হওয়ার শুরু। ই-সিগারেট স্পষ্টভাবেই একটি ড্রাগ যা দেশে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তাই ই-সিগারেট আমদানি বন্ধ করতে হবে।

সংসদ সদস্য ও টিসিআরসির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে তামাক কোম্পানিগুলো ইউটিউব, ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এছাড়াও যারা ধূমপান ছাড়তে চায় তাদেরকে প্রচলিত সিগারেটের বদলে ই-সিগারেট ব্যবহারে উৎসাহিত করছে। ই-সিগারেটের প্রসার বন্ধে এখনই কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ বলেন, ধূমপান মাদকের প্রবেশদ্বার। নতুন প্রজন্ম ই-সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ার আগেই এর প্রসার রুখতে হবে। ই-সিগারেট কিভাবে আমদানি হচ্ছে তা নির্ণয় করে এখনই আমদানি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, তামাক কোম্পানি সবসময়ই বিভিন্ন কূট-কৌশল অবলম্বন করে দেশের জনম্বাস্থ্যকে ক্ষতির মুখে ফেলে। বর্তমানে তারা দেশে ই-সিগারেট আমদানি ও প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে এবং তরুণদের এই নেশায় আসক্ত হওয়ার প্রেরণা দিচ্ছে।

ওয়েবিনারে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাষ্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী মুক্তি, আর্ন্তজাতিক সংস্থা দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এইচএন/এসআরএস