করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কোরিয়া ভ্রমণকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস। এমন পরিস্থিতিতে যেসব বাংলাদেশি দেশটি ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তারা কোভিড-১৯ নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক কি না তা জানতে চাইবে দূতাবাস।

সোমবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশটি ভ্রমণের পরিকল্পনাকারীদের উদ্দেশে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার কারণে ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস সংক্রমণ এড়াতে কোরিয়া সফরের পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশিদের কাছে জানতে চাইবে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কি না?

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ নিয়ে কোরিয়া প্রবেশ করা বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে দূতাবাস জানায়, দূতাবাস দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে যে, ২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কোরিয়ায় প্রবেশের প্রক্রিয়া চলাকালীন কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। ২১ সালের মার্চ মাসে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে যা কোরিয়ান কর্তৃপক্ষের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক দেশটি ভ্রমণ করতে চাইলে সেটি অন্যদের জন্য মারাত্মক ফল বয়ে আনতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে দূতাবাস। দূতাবাস জানায়, দূতাবাস কোরিয়ায় প্রবেশের আগে ও পরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ এড়াতে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরক্ষামূলক এবং সতর্কমূলক প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কোরিয়া ভ্রমণকারীদের সক্রিয় এবং স্বেচ্ছাসেবকমূলক সহযোগিতা আশা করে। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা গত বছরের জুনে কোরিয়ান ভিসা স্থগিতাদেশের মতো পরিস্থিতি এড়াতে চাই, না হলে তা অন্যান্য বাংলাদেশিদের ওপর মারাত্মক হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে কোরিয়া ভ্রমণে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, কোরিয়া প্রবেশের দুই সপ্তাহ আগে যে কারও সঙ্গে যোগাযোগ এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত কোয়ারেন্টাইন কঠোর এবং দৃঢ়ভাবে পালন করুন, আপনার কোভিড-১৯ লক্ষণ থাকলে দয়া করে ভ্রমণের পরিকল্পনাটি পরিবর্তন করুন।

এনআই/জেডএস