ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে উৎপাদিত পণ্যের গরমিল রয়েছে

মেয়াদোত্তীর্ণ পাল্প, জুস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট আর চিনি দিয়ে তৈরি হচ্ছিল বেভারেজ পণ্য। ছিল না বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স। ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে পণ্য উৎপাদনে রয়েছে গরমিল। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নোংরা পাত্রে রাখা ছিল খাদ্য উপকরণ।

সোমবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর অদূরে সাভার উলানিয়ায় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রুটস ফুড অ্যান্ড বেভারেজে অভিযান পরিচালনাকালে এ চিত্র দেখতে পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মো. সজীব প্র‌তিষ্ঠান‌টিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। 

মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য আদালতের ‍উপস্থিতিতে নষ্ট করা হয়

অভিযানকালে মনিটরিং অফিসার মো. ইমরান হোসেন মোল্লা, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের বিষয়ে বিএফএসএ জানায়, সোমবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মো. সজীবের নেতৃত্বে সাভার উলানিয়ায় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রুটস ফুড অ্যান্ড বেভারেজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ পাল্প, জুস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট, চিনি পাওয়া যায়। যা দিয়ে বেভারেজ পণ্য তৈরি করা হয়। অন্য ব্র্যান্ডের পণ্য প্রস্তুতে বিএসটিআইয়ের সিএম লাইসেন্সও ঘাটতি ছিল।

যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হয়নি জুস তৈরির উপাদান

ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে পণ্য উৎপাদনের তালিকার গরমিল পাওয়া গেছে। এসব অপরাধে রুটস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী পাঁচ লাখ জরিমানা করা হয়। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য তাৎক্ষণিক নষ্ট করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাদ্য প্রস্তুত করতে  প্রতিষ্ঠানটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এসআই/এসকেডি/এসএসএইচ