হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও তার স্ত্রীকে হেনস্তাকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। সোমবার (৫ এপ্রিল) জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসায় হেফাজতে ইসলাম ঢাকার কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতাদের জরুরি বৈঠক এ দাবি জানানো হয়।

বৈঠকে হেফাজত ইসলামের নেতারা বলেন, মাওলানা মামুনুল হক ৩ এপ্রিল তার স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয় রয়েল রিসোর্টে গিয়েছিলেন। ইসলামী শরিয়তের আলোকে তার বিবাহ পরিপূর্ণ শুদ্ধ মর্মে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই। দেশের যেকোনো নাগরিক তার স্ত্রী-পরিবার নিয়ে যেকোনো স্থানে যাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু তার মত পরিচিত ও সম্মানিত ব্যক্তির ওপর সন্ত্রাসীরা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেন, জাতীয় সংসদে একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত বিষয়কে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এটা জনগণ কখনোই আশা করেনি। আমরা এ বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাই। হরতালের সময় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানের মধুপুরে সরকার দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ বাহিনী যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা বর্ণনাতীত। হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুরীকে গুলি করে আহত করা হয়েছে। তারপরও সেখানকার স্থানীয় জনগণকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।

হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন হেফজাতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম, উপদেষ্টা মাওলানা আবুল কালাম, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা মাহফজুল হক, অধ্যাপক আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, সহকারী মহাসচিব, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি