প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে এ পর্যন্ত ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৪ মানুষ টিকা নিয়েছেন। এরমধ্যে ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭০১ জন পুরুষ এবং ২১ লাখ ৩ হাজার ৭৯৩ জন নারী রয়েছেন।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪১ হাজার ৩২২ জন করোনা টিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৬৯৮ এবং নারী ১৭ হাজার ৬২৪ জন।

এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকা গ্রহণ করেছেন ১৭ লাখ ১১ হাজার ৩২৩ জন, এরমধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে ৮ লাখ ৬৮ হাজার ১৬৮ জন। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ২ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৭, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮, রাজশাহী বিভাগে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৩, রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮২১, খুলনা বিভাগে ৭ লাখ ৪ হাজার ২৭০, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৪০ হাজার ৩৭২ এবং সিলেট বিভাগে ২ লাখ ৮৮ হাজার ২১০ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।

গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।

করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এ দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
দ্বিতীয় ডোজের সঙ্গে চলবে প্রথম ডোজও

শুরুতে ৫ এপ্রিল টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হলেও অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের সঙ্গে প্রথম ডোজও চলবে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, দেশব্যাপী চলমান প্রথম ডোজের করোনা টিকা বন্ধ হচ্ছে না, এটি অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া শুরু হবে।

তিনি বলেন, প্রথম ডোজ টিকা বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ডোজের টিকাও দেওয়া হবে।
চলতি সপ্তাহেই আসতে পারে টিকার চালান:

ভারত থেকে করোনা টিকার চালান পাওয়ার আশায়ই মূলত প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ প্রতিষেধক দেওয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গত রোববার (৪ এপ্রিল) তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভেবেছিলাম টিকায় করোনা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারাবিশ্বে দেখছি দ্বিতীয় দফায় করোনার প্রভাব বেড়েছে। এটি বাড়ায় পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

টিকার চালান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আমরা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের আরেকটি চালান পাব।

কী পরিমাণ ভ্যাকসিন এ সপ্তাহে আসবে? জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখনও পরিমাণ নির্ধারণ হয়নি। তবে বাংলাদেশ যাতে প্রথম ডোজ দেওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া অব্যাহত রাখতে পারে, সে পরিমাণ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে ভারত সরকার ও সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।

টিআই/এসএম