পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল জব্দ করে র‌্যাব

করোনার সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। এ অবস্থায় দেশের প্রত্যেকটি সড়ক, মহাসড়ক, হাট-বাজারে কঠোর নজরদারি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারপরও থেমে নেই মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকায় ঢুকছে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর আদাবর ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪৪৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে র‌্যাব-২ এর একটি দল। এ ঘটনায় ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক ও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের একটি চক্র সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ট্রাকযোগে মাদকের একটি বড় চালান নিয়ে গাবতলী বেড়িবাঁধ রোড হয়ে আদাবর থানা এলাকায় আসছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর আক্কাস নগর এলাকায় রাস্তার ওপর বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। এ সময় আন্তঃজেলা মাদক কারবারী চক্রের সদস্য মো. আজিম (৩৩), মো. আল আমিনকে (২৮) আটক করে র‌্যাব। আটক মাদক ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাকের ড্রাইভারের সিটের পেছনে ২টি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর থেকে ২৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

মাদকসহ জব্দ করা প্রাইভেটকার

এদিকে র‌্যাব-২ এর অন্য একটি দল ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, একটি চক্র সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রাইভেটকারযোগে ফেনসিডিলের চালান নিয়ে রাজধানীর আসাদগেট হয়ে আল্লাহ করিম এলাকায় যাচ্ছে।  এরই পরিপ্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুর থানাধীন টাউনহল এলাকায় পাকা রাস্তার ওপর চেকপোস্ট স্থাপন করে প্রাইভেটকারে তল্লাশি শুরু করে র‌্যাব। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি প্রাইভেটকারকে থামার সংকেত দেওয়া হয়। উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়ি থামিয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে মো. সাগর (৩২), মোছা. রিমু আক্তারকে (২২) আটক করে র‌্যাব। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাইভেটকারের পেছনের সিটের নিচে তেলের ট্যাংকে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা ১৯৮ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়।

আটক হওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা

আটক মাদক ব্যবসায়ীরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘ দিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য এনে সুকৌশলে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন।

জেইউ/এসকেডি