সরকারি অনুষ্ঠানে সব ধর্মগ্রন্থ পাঠের দাবি

সংসদ অধিবেশনসহ সরকারি অনুষ্ঠানগুলো সব ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে শুরুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল বর্ধিত সভায় জাতীয় সংসদ স্পিকারের কাছে এ দাবি জানানো হয়।

এসময় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের সরকারি উদ্যোগে বিরোধিতাকারীদের আস্ফালনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এ সভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া সব সরকারি অনুষ্ঠানে ধর্মীয় গ্রন্থ সমূহ থেকে পাঠ করার দাবি করা হয়েছে। 

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও পরপর দুটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত সভায় প্রতিবেদন পেশ করেন। 

আলোচনায় অংশ নেন পংকজ ভট্টাচার্য, কাজল দেবনাথ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাংবাদিক বাসুদেব ধর, জে এল ভৌমিক, মিলন কান্তি দত্ত, সঞ্জীব দ্রং, ড. জিনবোধি ভিক্ষু, যোসেফ সুধীন মন্ডল, স্বপন কুমার সাহা, রঞ্জন কর্মকার, মঞ্জু ধর, জয়ন্তী রায়, জয়ন্ত কুমার দেব, নির্মল চ্যাটার্জী প্রমুখ।

সভায় গৃহীত প্রস্তাবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সংগঠনের একাদশ জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে সরকারি দলের সংখ্যালঘু বিষয়ক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ও পার্বত্য শান্তি চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নসহ সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়াও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশনসহ সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি বাস্তবায়নে সরকারের কাছে জোর দাবি উত্থাপনের লক্ষ্যে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় স্বামীর সম্পত্তিতে বিধবার স্ত্রীর উত্তরাধিকার নিশ্চিত করে আইন প্রণয়ন, বিবাহ নিবন্ধন আইন সংশোধনক্রমে তা বাধ্যতামূলক করা ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইনে ইতোপূর্বে প্রস্তুতকৃত বিল প্রয়োজনীয় সংশোধন-সংযোজনের মাধ্যমে সংসদে উত্থাপনের জন্যে সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়। 

সংগঠনের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব বিগত বর্ধিত সভার প্রস্তাবাবলী অনুমোদনের জন্য পেশ করেন। সভায় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপংকর ঘোষ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

পিএসডি/ওএফ