‘স্বাস্থ্যবিধি মানব গাড়ি-ঘোড়া চালাব’ স্লোগানে রাজধানীতে রোববারের বিক্ষোভ কর্মসূচির ছবি/ ঢাকা পোস্ট

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গণপরিবহন চালুর দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে আন্দোলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। রোববার (২ মে) থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বানে বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন এ কর্মসূচি পালন করছে। মঙ্গলবার (৪ মে) বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে আন্দোলনকারীরা দাবির স্মারকলিপি পেশ করবেন। 

জানা গেছে, পরিবহন খাতের অধিকাংশ বড় নেতারাই পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনে যেতে উৎসাহ দিচ্ছেন, বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই প্রকাশ্যে মাঠে নেই। সরকার এ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। 

সোমবার (৩ মে) সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শপিংমলসহ সব কিছু চালু রাখা হলেও গণপরিবহন চালু করা হচ্ছে না। এ কারণে আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলন করছি। 

তিনি বলেন, এখন প্রায় ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিক বেকার, অসহায়। তাদের কোনো ধরনের সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে না। আমরা মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আমাদের দাবির স্মারকলিপি দেবো। সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের কাছেও এই দাবির স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

এদিকে, রোববার চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলেছেন, সরকার গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত না নিলে তারা রাস্তায় গাড়ি চালাতে বাধ্য হবেন। 

সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন, গণপরিবহন চালুর বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। তবে এই আশ্বাসে দমতে চাইছেন না পরিবহন নেতারা। তারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে গণপরিবহন পুরোদমে চালুর জন্য চাপ তৈরি করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

পরিবহন খাতের নেতারা চাইছেন, ঈদুল ফিতরের আগেই আন্তঃজেলা গণপরিবহন বিশেষ করে যাত্রীবাহী বাস চালু করতে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলমান বিধিনিষেধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভার্চ্যুয়াল সভায় গত রোববার ঈদুল ফিতরের সময় আন্তঃজেলা বাস বন্ধ রাখার প্রস্তাব করেছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। পোশাক শ্রমিকদের যাতে ঈদের সময় ছুটি না দেওয়া হয়, সে প্রস্তাব পাঠানো হবে পোশাক কারখানার মালিকদের কাছে। 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে চলমান লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ বিষয়ে ওই ভার্চ্যুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন একাধিক সিটি করপোরেশনের মেয়র, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন অংশীজন। 

সভায় ঈদুল ফিতরে আন্তঃজেলা যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধের সময়সীমা আগামী ৫ মে শেষ হচ্ছে। সভায় আন্তঃজেলা লঞ্চ ও যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রাখারও প্রস্তাব করা হয়। 

পিএসডি/এইচকে