‘বিপুলা পৃথিবীর আনিসুজ্জামান’ অনুষ্ঠানে নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কবি সাজ্জাদ শরিফ ও অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ

আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির জগৎকে যারা গড়ে তুলেছেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তাদের অগ্রগণ্য। ‌তি‌নি বাঙালির রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

শুক্রবার (১৪ মে) রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালনকা‌লে বক্তারা এ কথা ব‌লেন। ‘বিপুলা পৃথিবীর আনিসুজ্জামান’ চ্যানেল আই অনলাইন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ও সমন্বয়কারী ট্রাস্টি রবিন খান।

অনুষ্ঠা‌নে জানা‌নো হয়, আনিসুজ্জামান ছিলেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ও ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ‘বিপুলা পৃথিবীর আনিসুজ্জামান’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি সাজ্জাদ শরিফ ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

আলোচনায় প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ড. আনিসুজ্জামানের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করে করে বলেন, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয় স্যারের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য স্থায়ীভাবে কাজ করবে।

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি সাজ্জাদ শরিফ বলেন, আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি জগৎকে যারা গড়ে তুলেছেন আনিসুজ্জামান তাদের অগ্রগণ্য। এক জীবনে তিনি সমাজ ও সাহিত্যের অনেকগুলো ক্ষেত্র আলোকিত করে গেছেন। ঈদ এবং কোভিডের সময়ে ড. আনিসুজ্জামানকে স্মরণ করার জন্য তিনি রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আয়োজনকে স্বাগত জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, একজন শিক্ষাবিদ, গবেষক, লেখক, সম্পাদক এবং পাশাপাশি বাঙালির রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে আনিসুজ্জামান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

সংক্ষেপে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয় 
রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে একটি ভিন্নধারার শিক্ষালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) দ্বারা অনুমোদিত। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের অনুপ্রেরণাকে পাথেয় করে সংগীত, নাট্যকলা, ফ্যাশন ডিজাইন ও বিবিএ নিয়ে এই  বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগে রয়েছে সমৃদ্ধ সুইয়িং ল্যাব, প্যাটার্ন ল্যাব ও ই-ফ্যাশন ল্যাব। নানারকম বাদ্যযন্ত্র ও নাট্যসামগ্রীর সমন্বয়ে সুবিন্যস্ত সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগের অনুশীলন কক্ষ। বিবিএসহ প্রতিটি বিভাগে রয়েছে মাল্টিমিডিয়া সুবিধার আলোকোজ্জ্বল শ্রেণিকক্ষ। সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, প্রতিটি বিষয়ের প্রয়োজনীয় রেফারেন্স বই নিয়ে সজ্জিত। গ্রন্থাগারে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রহ নিয়ে পৃথক বঙ্গবন্ধু কর্ণার। এছাড়া রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মঞ্চের আধুনিক মিলনায়তন, রুফটপ ক্যাফেটেরিয়া ‘উত্তরায়ণ’।

এসআই/এইচকে