বঙ্গবন্ধু ম্যারাথনে ডিএমপির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আগামী ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১। ম্যারাথনকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২১ উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থার সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভার সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রভোস্ট মার্শাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাসের মো. ইলিয়াছ।

সমন্বয় সভা শেষ জানানো হয়, ফুল ও হাফ দুই ক্যাটাগরিতে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে হাতিরঝিল এসে শেষ হবে ম্যারাথন দৌড়টি। আর্মি স্টেডিয়াম থেকে ৪২.১৯৫ কি.মি ফুল ম্যারাথন ও ২১.০৯৭ কি.মি হাফ ম্যারাথন শুরু হয়ে হাতিরঝিল এসে শেষ হবে। রুট হিসেবে থাকবে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম-কাকলী ক্রসিং-কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ-গুলশান ২-গুলশান ১- পুলিশ প্লাজা-হাতিরঝিল (সম্পূর্ণ হাতিরঝিল চার চক্কর দিয়ে শেষ হবে)।

ফুল ম্যারাথনে অংশ নিবেন ১০০ জন যা শুরু হবে ১০ জানুয়ারি সকাল ৬.৩০ মিনিটে ও অন্য ১০০ জনের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন শুরু হবে সকাল ৬.৪০ মিনিটে। শুধুমাত্র করোনা টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট অধিকারীরাই ম্যারাথনে অংশ নিতে পারবেন বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় আরও জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২১ এ অংশগ্রহণকারী বিদেশি অ্যাথলেটদের মধ্যে ফুল ম্যারাথনে ৩১ জন ও হাফ ম্যারাথনে ৬ জন অংশ নিবেন।

ম্যারাথনকে কেন্দ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে ম্যারাথন রুটে পিকেট ব্যবস্থা, ফুট পেট্রোল, ব্যারিকেড চেকপোস্ট ব্যবস্থা, রুফটপ ডিউটি, মোবাইল পেট্রোলিং এবং স্টিল ও ভিডিও ক্যামেরা মোতায়েন। ম্যারাথন রুটে কোনো ভাসমান দোকান বসতে দেওয়া হবে না। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে ম্যারাথন রুটে সুইপিং করা হবে। এছাড়া মোতায়েন থাকবে মেডিকেল টিম, ফায়ার টেন্ডার ও এ্যাম্বুলেন্স।

সভায় প্রভোস্ট মার্শাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাসের মো. ইলিয়াছ বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে মুজিব বর্ষে অনেক ইভেন্ট থাকলেও এগুলোর আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে এ ম্যারাথন ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মোহা.শফিকুল ইসলাম বলেন, সারাবছর ধরে আমরা জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী পালন করতে চেয়েছিলাম। পুলিশের পক্ষ থেকে অনেক প্রোগ্রাম করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের জন্য তা সম্ভব হয়নি। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ম্যারাথনে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঘাটতি থাকবে না। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিবো।

এ সময় সভায় মিলিটারি পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

এমএসি/এমএইচএস