কখনো তিনি ডিবি পুলিশ, কখনো অতিরিক্ত সচিব!
গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক মো. সাজেদুর রহমান
কখনো তিনি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য আবার কখনো ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন)! এভাবেই নিজেকে পরিচয় দিতেন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক মো. সাজেদুর রহমান।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) র্যাবের বরাত দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
তাতে বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) পরিচয় দিয়ে কতিপয় প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য বেশ কিছুদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা, মাদক ব্যবসাসহ নানাবিধ অপরাধ করে আসছিল। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছিল এবং পত্রিকায় বেশ কয়েকবার বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, র্যাব এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর ফলে মো. সাজেদুর রহমান সাজিদ নামে এ প্রতারককে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়। ভূমি মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসনের সব পর্যায়ে প্রতারণার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করেছে। এছাড়া সাধারণ জনগণকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-১ জানায়, গত ১ ডিসেম্বর উত্তরার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর বিমানবন্দর থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের কশাইবাড়ি রাস্তার মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সাজিদকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ১ হাজার ৯২৫ পিস ইয়াবা, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ের ১০টি ভিজিটিং কার্ড, ২টি সরকারি জাল সীল, ৫টি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড, ১টি পেনড্রাইভ, ১টি মেমোরি কার্ড এবং প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া নগদ ৫ হাজার ১২০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, ২০০১ সালে রংপুর থেকে বি.এ পাস করেন এ প্রতারক। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে এসআর পদে যোগদান করেন। চাকরির পাশাপাশি বিগত ১ বছর ধরে প্রতারণার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি নিজেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত তহসিলদারদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে নগদ টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে তিনি জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
এর আগে সাজিদ ডিবি পুলিশের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড করায় পৃথক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল।
এসএইচআর/এইচকে