‘দেশেই প্রাণিসম্পদের ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়াতে হবে’
সায়েন্টিফিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম
দেশেই প্রাণিসম্পদ খাতের ভ্যাকসিন উৎপাদন করে আমদানি নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেছেন, প্রাণিসম্পদ খাতে ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়াতে হবে। এতে কমে যাবে আমদানির পরিমাণ। বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার পরিবর্তে দেশে তৈরি করলে ব্যয়ের পরিমাণও অনেক কমে যাবে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৪ জানুয়ারি) মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সায়েন্টিফিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর মহাখালীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাণী বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশের প্রতিভাবান বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারলে সেটা কেনো আমরা বিদেশ থেকে আনবো। গবেষণালব্ধ সম্পদ সরবরাহ করতে না পারলে দেশের প্রাণিসম্পদ খাত ধ্বংস হয়ে যাবে। এ খাতের বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে প্রাণিসম্পদ খাতকে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
দেশের সীমিত সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার করতে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। নিজ যোগ্যতার প্রকাশ ও বিকাশ করাটাই আপনাদের দায়িত্ব। একজন বিজ্ঞানী বা একজন ভালো লেখাপড়া করা ব্যক্তির প্রতিভার বিকাশ সম্পূর্ণ আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে হবে। দেশের বাইরে আমাদের বিজ্ঞানীরা প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারলে দেশে কেনো নয়?
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতির সঙ্গে ভ্যাকসিন আপডেট করাই আপনাদের কৃতিত্ব। অন্যদের অপেক্ষায় না থেকে আপনাদেরই হতে হবে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। আপনাদেরই হতে হবে দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, হতে হবে সমস্যা সমাধানকারী।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত দিনব্যাপী এ কনফারেন্সে ২১টি গবেষণা পত্র উপস্থাপন করা হয়। এ সময়ে প্রাণী বিজ্ঞানীরা তাদের নিজস্ব মত ও গবেষণার আলোকে বক্তব্য তুলে ধরেন।
একে/এমএইচএস