ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ভোরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা সরে এসেছে।

সোমবার (২৪ মে) রাতে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে প্রায় একই এলাকায় ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে।

একইদিন সন্ধ্যা ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ২৬ মে ভোর নাগাদ এটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গ ও খুলনা উপকূলের নিকট উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় পৌঁছতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশেপাশে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

একে/আরএইচ