কৃষি দফতরের ই-ফাইলিং জোরদারের সিদ্ধান্ত
কর্মরত কৃষকের সংগৃহীত ছবি
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন অধিদফতর ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদের পাশাপাশি ই-ফাইলিং কার্যক্রম জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া একাধিক সংস্থার কাজ আরও গতিশীল করতে বলা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনলাইনে গত ২৯ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত হয় এ সভা। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞাপন
সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার মধ্যে অন্যতম ছিলো- ওয়েবসাইট ও ই-ফাইলিং কার্যক্রম জোরদার করা। এ সময় বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনে থাকা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডেট রাখতে হবে। আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, প্রজ্ঞাপনসহ নোটিশ বোর্ডের যাবতীয় তথ্য দ্রুত সময়ে আপলোড করতে হবে।
এছাড়া দফতর ও সংস্থার ওয়েবসাইটে হালনাগাদ ও তুলনামূলক বিবরণী এর তথ্য সমন্বয় সভায় ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। প্রতি মাসে কী কী তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে তার তালিকা নির্ধারিত ছকে সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সভায় ই-ফাইলিং কার্ক্রমে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে জানান একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলেন, দফতর বা সংস্থার ই-ফাইলিং কার্যক্রম আরও জোরদারের পাশাপাশি কাযক্রমের ধারাবাহিকতা রাখার জন্যে বলা হয়। প্রতিমাসে এই ফাইলিং বিষয়ে তথ্য সমন্বয় সভায় তুলে ধরতে হবে।
এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে ই-ফাইলিংয়ের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্যে বলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের ইফাইলিংয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রথম থেকে পঞ্চম স্থানের মধ্যে আসার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
সভায় কৃষি মন্ত্রণলায় ও মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন সংস্থা প্রধান তাদের নিজস্ব মত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই হার্ড ও সফট কপি প্রশাসন শাখায় দেওয়ার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখার উপসচিব শাহীন আখতার জানান, আমাদের নিয়মিত মাসিক সভা হয়ে থাকে। এতে বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেন মন্ত্রণালয়সহ সব সংস্থার কাজ আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায়।
এ কর্মকর্তা বলেন, এখন ডিজিটাল যুগ। এ সময়ে ওয়েবসাইট হালনাগাদ ও ই-ফাইলিং কার্যক্রমে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এ কারণে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একে/এইচকে