সাখাওয়াত হোসেন লালু

চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে গ্রেফতার সিরিয়া থেকে যুদ্ধ করে আসা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন লালুকে আবারও তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১৫ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আজকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এসআই রাছিব খান। এর আগে গত শুক্রবার (১১জুন) চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকা থেকে সাখাওয়াত আলীকে (৪০) গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ। শনিবার তাকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছিল আদালত।  

শনিবার (১২ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাছিব খান ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, জিহাদি কার্যক্রম প্রচারের জন্য খুলশী থানার দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় আহলে হাদিস জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানের সময়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

কাউন্টার টেররিজম সূত্রে জানা যায়, মো. সাখাওয়াত আলী ২০১২ সাল থেকে তার ভায়রা ভাই আরিফ ও মামুনের অনুপ্রেরণায় জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। পরে সংগঠনের নেতা মোয়াজসহ (চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া) মনসুরাবাদ এলাকার হুজুর শফিক, চট্টগ্রাম লালখান বাজার এলাকার এসির দোকানে কর্মচারী ওমর ফারুকের সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি। সাখাওয়াত জিহাদি কার্যক্রম প্রচারের কাজে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। 

কাউন্টার টেররিজম বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাছিব খান বলেছিলেন, সাখাওয়াত জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে ২০১৭ সালে তুরস্ক যান। তুরস্ক থেকে অবৈধপথে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়াতে প্রবেশ করেন। সেখানে  দীর্ঘ ৬ মাস হায়াত তাহরির আশশামের কাছ থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়ে সিরিয়ার ইদলিব এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেন। 

পরে তিনি সিরিয়া থেকে অবৈধপথে সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্ক হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেন। এরপর ইন্দোনেশিয়া থেকে শ্রীলঙ্কা হয়ে পুনরায় ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে বসবাস করেন। ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকালীন তিনি জিহাদি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এরপর ২২ মার্চ দেশে এসে আবার জিহাদি কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন।  তিনি চট্টগ্রামের দামপাড়া এম এম আলী সড়কের বাসিন্দা শেখ মো. শমসের আলীর ছেলে।

কেএম/ওএফ