চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য শামীমুর রহমানকে (৪০) গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সিটিটিসির চট্টগ্রাম ইউনিটের উপ-পুলিশ কমিশনার হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রিমান্ডে শাখাওয়াতের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আকবর শাহ এলাকা থেকে শামীমুর রহমান নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মাধ্যমে সাখাওয়াত আনসার আল ইসলামে যুক্ত হন।

কাউন্টার টেরোরিজম সূত্রে জানা গেছে, শামীমুর এর আগে গ্রেফতার সিরিয়া ফেরত যোদ্ধা ও আনসার আল ইসলামের ‘আইটি বিশেষজ্ঞ’ সাখাওয়াত আলী লালুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। গ্রেফতার শামীমুর রহমান নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসার শিক্ষক। তিনি জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। 

গত শুক্রবার (১১জুন)  রাতে চট্টগ্রাম নগরের দক্ষিণ খুলশী এলাকা থেকে সাখাওয়াতকে গ্রেফতার করেন সিটিটিসির সদস্যরা। প্রথম দফা তিন দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

কাউন্টার টেররিজম সূত্রে জানা যায়, সাখাওয়াত আলী ২০১২ সাল থেকে তার ভায়রা ভাই আরিফ ও মামুনের অনুপ্রেরণায় জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। পরে সংগঠনের নেতা মোয়াজসহ (চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া) মনসুরাবাদ এলাকার হুজুর শফিক, চট্টগ্রাম লালখান বাজার এলাকার এসির দোকানে কর্মচারী ওমর ফারুকের সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি। সাখাওয়াত জিহাদি কার্যক্রম প্রচারের কাজে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। 

কাউন্টার টেররিজম বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাছিব খান বলেছিলেন, সাখাওয়াত জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে ২০১৭ সালে তুরস্ক যান। তুরস্ক থেকে অবৈধপথে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়াতে প্রবেশ করেন। সেখানে  দীর্ঘ ৬ মাস হায়াত তাহরির আশশামের কাছ থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়ে সিরিয়ার ইদলিব এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেন। 

পরে তিনি সিরিয়া থেকে অবৈধপথে সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্ক হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেন। এরপর ইন্দোনেশিয়া থেকে শ্রীলঙ্কা হয়ে পুনরায় ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে বসবাস করেন। ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকালীন তিনি জিহাদি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এরপর ২২ মার্চ দেশে এসে আবার জিহাদি কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন।  তিনি চট্টগ্রামের দামপাড়া এম এম আলী সড়কের বাসিন্দা শেখ মো. শমসের আলীর ছেলে।

কেএম/ওএফ