চাকরি-বিধিমালা প্রণয়নে কর্মসূচির হুঁশিয়ারি ডিএমটিসিএল কর্মচারীদের
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পরও নিয়মিত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র চাকরি–বিধিমালা প্রণয়ন না হওয়ায় আবারও তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীদের মধ্যে। তারা হুঁশিয়ারি করে বলেছেন, আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি বিধিবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সাথে সাংঘর্ষিক ‘বিশেষ বিধান’ অপসারণ করে স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি–বিধিমালা প্রণয়ন ও প্রকাশ না হলে ১০ ডিসেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে ‘ডিএমটিসিএল-এর ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ’ ব্যানারে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে ৯০০-এর বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত থাকলেও তাদের ছুটি, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, শিফট-অ্যালাউন্স/ওভারটাইম, গ্রুপ-ইনস্যুরেন্সসহ বিভিন্ন ন্যায্য আর্থিক সুবিধা ও দীর্ঘমেয়াদি পদোন্নতির সুযোগ এখনো অনির্ধারিত। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে তারা দক্ষতা ও নিরাপত্তার সঙ্গে পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের দায়িত্ব পালন করলেও চাকরি-বিধিমালা না থাকায় চরম হতাশায় ভুগছেন। এমনকি অতীতে এক সহকর্মীর মৃত্যুর পরও সরকারিভাবে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
নিয়মিত কর্মচারীরা জানান, চাকরি-বিধিমালা প্রণয়নে লিখিত, মৌখিকসহ বহুবার দাবি জানানোর পরও দীর্ঘদিন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে চাকরি-বিধিমালা প্রণয়ন করার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ অবস্থায় ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কর্মচারীরা আন্দোলনে নামেন। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি ডিএমটিসিএল এক মাসের মধ্যে (২০ মার্চ) চাকরি-বিধিমালা প্রণয়নের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। তবে ৯ মাস পার হলেও চাকরি-বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি।
বিজ্ঞাপন
কর্মচারীরা আরও জানান, একটি খসড়া চাকরি-বিধিমালা প্রস্তুত হলেও সেখানে এমআরটি লাইন-৬ ও অন্যান্য প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী ও দেশের প্রচলিত আইনের বিরোধী ‘বিশেষ বিধান’ একাদশ অধ্যায়ে যুক্ত করা হয়েছে। এই অবৈধ বিশেষ বিধানই দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চাকরি-বিধিমালা প্রণয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আরও জানানো হয়, কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে পরিচালক (প্রশাসন) কর্মচারীদের আশ্বস্ত করেন– আগামী ৯ ডিসেম্বরের বোর্ড মিটিংয়ে তিনি ‘বিশেষ বিধান’ অপসারণ করে সার্ভিস রুল প্রণয়ন ও প্রকাশের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করবেন এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন।
এমএইচএন/বিআরইউ