চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

চীন কখনোই ভারতকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আগামীতে আরও ভালো হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ভারত ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

লি জিমিং বলেন, ‘ভারতকে চীন কখনোই কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে না। বরং চীন ও ভারত ভালো বন্ধু। বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি বলতে চাই, ভারতের সঙ্গে আগামীতে চীনের সম্পর্ক আরও ভালো হবে।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে বেইজিং সমর্থন করে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‌‌‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়- বাংলাদেশের এই পররাষ্ট্রনীতিকে সমর্থন করে চীন। বাংলাদেশের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আগামীতে চীন বিরোধী কোনো জোটে যোগ দিবে না বাংলাদেশ।’

এ সময় রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেওয়া টিকার বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি এ সংকটের শুরুর দিকে বাংলাদেশের পাঠানো দেশটির জন্য জরুরি ওষুধ সামগ্রীর কথাও তুলে ধরেন।  

‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক : ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন কূটনীতিক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। আলোচক প্যানেলে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, সিপিডির সম্মনীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের এম চৌধুরী, ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী গবেষক ড. জু ইওংমেং, চীনা ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সহকারী গবেষণা ফেলো ড. নিং শেংনান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।

এনআই/ওএফ