স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট মেধাস্বত্ব (টিআরআইপিএস) বাতিলের সুবিধা আরও ১৩ বছর বাড়া‌নো হ‌য়ে‌ছে। দীর্ঘ ৯ মাস বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দেন-দরবারের পর স্বল্পোন্নত দেশগু‌লোর জন্য প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ বিশেষ সুবিধা আগামী ২০৩৪ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। 

বুধবার (৩০ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থে‌কে পাঠা‌নো এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ তথ্য জানা‌নো হয়।

বিজ্ঞ‌প্তি‌তে জানা‌নো হয়, মঙ্গলবার (২৯ জুন) জেনেভা ট্রিপস কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব‌টি গৃহীত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পক্ষে বাংলাদেশ এ আপস-আলোচনায় নেতৃত্ব দেয়। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ যাবৎকালে এটিই সর্বোচ্চ সময়ের জন্য বৃদ্ধি। এর আগে যথাক্রমে সাত ও আট বছরের জন্য এ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছিল।  

এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আপস-আলোচনাটি মোটেও মসৃণ ছিল না। উন্নত দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বল্প সময়ের বেশি ছাড় দিতে কোনভাবেই রাজি হচ্ছিল না। অবশেষে বাংলাদেশের নেতৃত্বে আগের তুলনায় পাঁচ বছরের বেশি সময় পাওয়া গেছে। এ অর্জনে আমি ও আমার সহকর্মীরা আনন্দিত।

রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তারপরও আমাদের ইচ্ছা ছিল এই দেশগুলোর জন্য একটা লম্বা সময়ের ছাড় আদায় করে দিয়ে যাওয়া, যাতে করে স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে ঘন ঘন এ সংক্রান্ত আলোচনায় বসতে না হয়।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ বরাবরই স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে বিভিন্ন দর-কষাকষিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এ মুহূর্তে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ সংক্রান্ত আরেকটি প্রস্তাব বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাধারণ পরিষদের বিবেচনাধীন রয়েছে। এ আলোচনাতেও বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে আফ্রিকার দেশ চাদ সংস্থাটিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে। তবে, বাণিজ্য ও মেধাস্বত্ব সম্পর্কিত বিষয়সমূহের আলোচনায় এ দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।

এনআই/এসএম