চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল দক্ষতা থাকতেই হবে: মোস্তাফা জব্বার
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের তৈরি করতে না পারলে টিকে থাকা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, এজন্য প্রত্যেকের ডিজিটাল দক্ষতা থাকতেই হবে। বেসিক ডিজিটাল দক্ষতা থাকলে প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ দূর করা সম্ভব।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) অনলাইনে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘এন্টারপ্রিনিয়ার্স ডায়রি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রকৃত পরিবেশ, সঠিক দিকনির্দেশনা ও উপযুক্ত সহায়তা প্রদান খুবই প্রয়োজন। এসবের পাশাপাশি তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হবে। এতে তাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত মোবাইল দেশের মোট চাহিদার শতকার ৫২ ভাগ পূরণ করছে। নাইজেরিয়া, নেপাল ও আমেরিকায় বাংলাদেশ কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন রপ্তানি করছে। কোভিডকালে দেশের ৭০ ভাগ রোগী ঘরে বসে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডিজিটাল কমার্স চারগুণ বেড়েছে। প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেটে শিশুরা পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে, যা কখনো কল্পনাও করা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ দক্ষতা মানে কোনো বিশেষ ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে তা নয়। ভালো উপস্থাপনার জন্য দক্ষ করে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। নিজে ভালোভাবে প্রকাশ ঘটাতে পারলে পৃথিবীর যে কোনো ভাষার মানুষ যন্ত্রে তার নিজ ভাষায় তা বুঝতে সক্ষম।
‘মন্ত্রী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে লেখাপড়া করার পরও কেমন করে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হন’ প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইচ্ছা থাকলে সবই করা সম্ভব। আামি ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে বাঙালিত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাই। অন্যদিকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে এই বিভাগের মহান শিক্ষকরা বাংলা ভাষার জন্য অসাধারণ ভালোবাসা তৈরি করিয়ে দেন। বাংলা ও বাঙালির প্রতি দরদ থেকে আমি কম্পিউটারে বাংলা ভাষা প্রয়োগের প্রযুক্তি আবিষ্কার করি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মফিজুর রহমান, অধ্যাপক সাদিয়া আহমেদ প্রমুখ।
এইচএন/এইচকে