কঠিন সময়ে পাশে থাকায় বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ রাষ্ট্রদূত মিলারের
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সংগৃহীত ছবি
কঠিন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকায় বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। তিনি বলেন, আমাদের এই কঠিন সময়ে বন্ধুত্ব, অংশীদারিত্ব এবং আমাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গণতন্ত্রকে সমর্থন করায় বাংলাদেশি নাগরিকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) এক টুইট বার্তায় রাষ্ট্রদূত মিলার বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি টুইটে লেখেন, নিন্দনীয় ঘটনার পর মার্কিন কংগ্রেস সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। তারা আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। গণতন্ত্র রক্ষায় তারা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আইন অনুযায়ী শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন।
প্রত্যেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে গণতন্ত্র রক্ষায় সংগ্রাম করতে হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত লিখেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোকে অপূর্ণ ও চলতে থাকা অগণতান্ত্রিক অবস্থা থেকে আদর্শ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সংগ্রাম করতে হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
টুইটে মিলার আরও লেখেন, গণতন্ত্র পরীক্ষিত। মাঝে মাঝে আমরা হোঁচট খাই। কিন্তু প্রতিশ্রুত জনগণ তাকে ফিরিয়ে আনতে সর্বদা সংগ্রাম করে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রবাসী আবার তা করব। আমরা একসঙ্গে প্রতিজ্ঞতাবন্ধ হয়ে ন্যায়বিচারের পথের চিত্র তৈরি করব এবং একে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করব।
গত বুধবার (৬ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জো বাইডেনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। সেই সহিংসতায় নিহত হয়েছেন পাঁচজন। ডোলান্ড ট্রাম্পকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য তার সমর্থকরা এমন সহিংসতা ঘটিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়।
ক্যাপিটাল হিলে ট্রাম্পের সমর্থকদের তাণ্ডবের পর তাকে নিয়ে ইতোমধ্যে অভিশংসনের কথা উঠেছে। অর্থাৎ ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বলা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই কর্মকাণ্ডের ভার আইপ্রণেতাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।
এনআই/এইচকে