করোনার সনদ ছাড়া যাত্রী আনায় ভারতীয় এয়ারলাইন্সকে জরিমানা
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন/ ছবি: সংগৃহীত
কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া দিল্লি থেকে ঢাকায় যাত্রী বহন করে আনায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ভারতের ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সকে।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) দিল্লি থেকে আগত ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটকে এই জরিমানা করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট।
বিজ্ঞাপন
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, শনিবার ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ ছাড়াই এক বাংলাদেশি যাত্রীকে বহন করে ঢাকায় নিয়ে আসে। ওই যাত্রী বাংলাদেশ থেকে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করার আগে তিনি যথাযথ নিয়মে এবং সময়ে পরীক্ষা করে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়েছিলেন। তবে আসার সময় তার কোভিড-১৯ সনদ ভালোভাবে যাচাই-বাছাই না করেই দিল্লি বিমানবন্দর থেকে যাত্রীকে বোর্ডিং পাস দিয়ে গাফিলতির পরিচয় দিয়েছে ইন্ডিগো। তাই তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও ঢাকায় ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন যে, দিল্লি বিমানবন্দরে গাফিলতির জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে তারা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিজ্ঞাপন
গত এক মাসে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সন্তোষজনক সনদ ছাড়া বাংলাদেশে যাত্রী এনে মোট ১৫টি এয়ারলাইন্সকে ২৫ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে।
এর মধ্যে কাতার এয়ারওয়েজকে পাঁচ লাখ, করোনা সনদ ছাড়া ৫১৬ যাত্রী আনায় সৌদি আরাবিয়ান এয়ারলাইন্সকে (সাউদিয়া) দুই লাখ, বিমান বাংলাদেশকে ৩০ হাজার ও মালদিভিয়ান এয়ারলাইন্সকে দুই লাখ এবং পরীক্ষা ছাড়া লিবিয়া থেকে ১৫০ যাত্রী আনায় দেশটির বুরাক এয়ারকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া করোনা আক্রান্ত এক যাত্রীকে বহন বাংলাদেশে আনায় এয়ার এশিয়াকে এক লাখ ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
গত ৪ ডিসেম্বর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, ৫ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে আসতে ইচ্ছুকদের অবশ্যই করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ফ্লাইটের সময় থেকে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা আগের সনদ গ্রহণযোগ্য হবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বেবিচক। এছাড়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া কোনো যাত্রীকে বোর্ডিং পাস না দিতে নির্দেশ দিয়েছে বেবিচক।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে নতুন একটি সার্কুলারে বাংলাদেশ ত্যাগ করা যাত্রীদের জন্য কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করে বেবিচক।
সার্কুলারে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে যেসব যাত্রী শিডিউল ফ্লাইটে অন্যান্য দেশে যাবেন, তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে পিসিআর-বেইজড কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। সার্টিফিকেটটি অবশ্যই যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে সরকার অনুমোদিত ও সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল বা ইন্সটিটিউট থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তবে বেবিচকের পক্ষ থেকে পরীক্ষার সময় যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে বেঁধে দেয়া হলেও যাত্রীরা নির্দিষ্ট গন্তব্য বা দেশের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা করতে পারবেন।
এআর/এফআর