চোরাই ল্যাপটপ ফিরিয়ে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো ওরা
দীর্ঘ দুই বছর পর ঢাকা মহানগরীর শেরে বাংলা নগর থানাধীন আগারগাঁও এলাকায় অভিনব পন্থায় ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় চক্রের প্রধানসহ দুজনকে গ্রেফতার ও চোরাই ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেফতাররা হলেন- আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে নোমান (৪২) ও মাসুদ আলী ওরফে হেলাল (৩৭)।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৭ জুলাই) ডিএমপির দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) একটি দল।
পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, জনৈক তানিম হোসেন ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর শেরে বাংলা নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে অজ্ঞাতনামারা তার আগারগাঁও বাসা নং-১০৫/সি, ফ্ল্যাট নং-৬ বি থেকে একটি ল্যাপটপ ব্যাগসহ চুরি করে নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
ওই ঘটনার পর চোর চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে তার কাছে মোবাইলে ফোন করে চোরাই ল্যাপটপ ফেরত দেওয়ার শর্তে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দাবি করে। আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর একটি বিশেষ টিম ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে নোমান ও মাসুদ আলী ওরফে হেলালকে দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে পাওয়া তথ্যের বরাতে বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর বলেন, গ্রেফতার নোমান একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের প্রধান। সে কম বয়সী ছেলেদেরকে টার্গেট করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দলে নিয়ে আসে এবং তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে অভিনব কৌশলে ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল চুরি করায়। পরে চোরাই মালামালের মালিকের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে মালামাল ফেরত দেওয়ার কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর চোরাই মালামাল ঢাকা মহানগরীর মোতালেব প্লাজা ও স্টেডিয়াম মার্কেটে বিক্রি করে দেয়।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণসহ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেইউ/জেডএস