রাজধানীর আজমপুর রেলগেট থেকে কসাইবাড়ি সংলগ্ন এলাকার রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে সেগুলো স্পট নিলামে বিক্রি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (৭ জুলাই) বিমানবন্দর সড়ক এবং দক্ষিণখান এলাকায় ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতেই এসব মালামাল নিলামে বিক্রি করা হয়।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫টি স্থান থেকে জব্দ করা মালামালগুলো ৫টি স্পট নিলামে ১১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। সেই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।

এদিকে দক্ষিণখান এলাকা পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ওই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

পাশাপাশি তিনি নগরবাসীকে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য অনুরোধ করেন এবং সবাইকে সরকারের নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেন।

এর আগে বিমানবন্দর সড়ক পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) কিংবা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে ডিএনসিসির সঙ্গে সমন্বয় করে কমপ্লায়েন্স মেনে যথাযথভাবে কাজ করতে হবে। বিআরটি কর্তৃপক্ষ কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ না করায় এয়ারপোর্ট রোডসহ আশেপাশের এলাকায় পরিবেশ দূষণসহ বিভিন্ন ধরনের জনভোগান্তির সৃষ্টি করেছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, বিআরটি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জনকল্যাণে এয়ারপোর্টের পার্শ্ববর্তী মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতাবিহীন একটি ইউটার্নের সুব্যবস্থা রাখতে হবে। বিআরটি কর্তৃপক্ষকে রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথ সচল রেখে কাজ করতে হবে। জনগণের যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয় সেজন্য নিয়মিত রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথ পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের পূর্বেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ডিএনসিসির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অনুমতি নিয়ে ডিএনসিসির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সশরীরে কোরবানির পশুর হাট এড়ানোর লক্ষ্যেই ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট-২০২১ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিএনসিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্লটারিং হাউজে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এবার ১ হাজার কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২৫টি ফ্রিজার ভ্যানের মাধ্যমে কোরবানি করা গবাদি পশুর মাংস যথাযথভাবে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে এবং ‘মানব সেবা’ নামে একটি এনজিওকে চামড়া দিয়ে দেওয়া হবে।

এএসএস/এসকেডি