ড. আলহাজ উদ্দিন

তুলা উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন ড. আলহাজ উদ্দিন আহাম্মেদ। এর আগে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার খামারবাড়িতে তুলা উন্নয়ন বোর্ডে (সদর দপ্তর) যোগদান করেন তিনি। এর আগে এ পদে ছিলেন ড. ফরিদ উদ্দিন।

১৯৬২ সালে টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন ড. আলহাজ উদ্দিন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরপরে ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্যানতত্ত্বে পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে ৭ম বিসিএস এর মাধ্যমে বিসিএস কৃষি ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।

নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন ড. আলহাজ উদ্দিন। কৃষি সংশ্লিষ্ট একাধিক বিষয়ের ওপর বিভিন্ন জার্নালে তার বিভিন্ন গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ হর্টিকালচারাল সোসাইটি, বাংলাদেশ এগ্রিকালচারিস্ট সোসাইটি, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ ও বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য।

এক নজরে তুলা উন্নয়ন বোর্ড: 
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান কাঁচামাল সরবরাহ বন্ধ করে দিলে স্থানীয়ভাবে তুলার উৎপাদনের গুরুত্ব বেড়ে যায়। এ সময় আমাদের বস্ত্র শিল্পগুলো কাঁচামালের অভাবে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়। এই অবস্থায় ১৯৭২ সালে দেশে তুলার চাষ সম্প্রসারণ করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে তুলা উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হয়।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড ১৯৭৪-৭৫ সালে মাঠ পর্যায়ে আমেরিকান আপল্যান্ড তুলা দিয়ে পরীক্ষামূলক তুলার চাষ শুরু করে। ১৯৭৬-৭৭ সালে আমেরিকা হতে থেকে তুলার জাত প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশে ব্যপক পরিমাণে তুলা চাষ শুরু হয়।

১৯৯১ সালে তুলা গবেষণার দায়িত্ব বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হতে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কাছে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তুলা গবেষণা ও সম্প্রসারণকাজ তুলা উন্নয়ন বোর্ড করছে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম প্রসারিত করার লক্ষ্যে রাজধানীর খামারবাড়িতে একটি নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজও দ্রুত গতিতে চলছে। এর ফলে দেশে তুলার উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে তুলার উৎপাদন বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

একে/এইচকে