দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৮০৩ জনে।

এ সময়ে নতুন করে ৮৪৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২৩ হাজার ৩০২ জনে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও  ৯১৭ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৯৩টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ লাখ ৭১ হাজার ৪১৬টি নমুনা।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ০২ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ৬৪৪টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৭ লাখ ১২ হাজার ৭৭২টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২২ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের মধ্যে ২১ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

যারা মারা গেছেন তাদের ১৮ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

করোনাভাইরাসে দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৮০৩ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৯২৭ জন পুরুষ। নারীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ২৮৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৯৭০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯০৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৮৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৯ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এখন পর্যন্ত যারা করোনায় মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৩১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৩৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৪৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৩৯ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৯ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯৬ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫০ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এইচকে