ঈদুল আজহা যতই ঘনিয়ে আসছে, আফতাব নগর হাটে কোরবানির পশু বিক্রি ততই বাড়ছে। এ বছর হাটে বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। ছোট-মাঝারি আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকায়। 

ক্রেতারা বলছেন, করোনার কারণে আমাদের আয় কমেছে, ফলে গরু কেনার বাজেটও কমেছে। তাই ইচ্ছা থাকার পরও বাধ্য হয়ে ছোট-মাঝারি গরু কিনতে হচ্ছে। বড় গরুর দামও এবার বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। বেশি দাম হওয়ায় ক্রেতাদের চোখ বাধ্য হয়েই ছোট-মাঝারি গরুর দিকে যাচ্ছে। 

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের বাকি আর মাত্র দুদিন। সে তুলনায় আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। বড় গরুগুলোর দামই বলছেন না ক্রেতারা। যে কয়জন আসছেন, ছোট ও মাঝারি গরু দেখছেন এবং কিনছেন। তবে হাট কর্তৃপক্ষ বলছে, গতকালের চেয়ে আজ বিক্রি বেড়েছে। কাল বিক্রি হবে পুরোদমে। ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি।

আফতাব নগরের বড়ই তলায় বিক্রির অপেক্ষায় থাকা কিশোরগঞ্জের ব্যবসায়ী মিনহাজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এবার নয়টি গরু হাটে এনেছি। চারটি বিক্রি হয়েছে। আরও পাঁচটি আছে। দাম করছে, কিন্তু মিলছে না। দামে মিললেই বিক্রি করে দেব। দেশি গরু এনেছি। দেশি গরুর মাংসের স্বাদ বেশি। আমার গরুগুলো ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।

হাটে আসা গাজীপুরের কাপাসিয়ার ব্যবসায়ী রুকন উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাঁচটা গরু এনেছিলাম। একটি বিক্রি করেছি। এখন চারটি বড় গরু আছে। আমার গরুগুলোর দাম দেড় থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা। তাও বিক্রি করতে পারছি না। গতবার চাহিদা বেশি ছিল, কিন্তু এবার নেই।

ছেলেকে নিয়ে গরু কিনতে আসা পূর্ব বাড্ডার বাসিন্দা এনামুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতবার ৮০ হাজার টাকার গরু কোরবানি দিয়েছি। এবারও সে রকম বাজেট, কিন্তু গতবারের মতো গরু পাচ্ছি না, যাও পাচ্ছি দাম বেশি। বিক্রেতারা এক লাখ ২০ হাজার টাকা চাচ্ছেন। আজ কিনতে না পারলে চলে যাবো। কাল দেখে কিনে নিয়ে যাব।

হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এস এম তোফাজ্জল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে বিক্রি ভালই হচ্ছে। সবচেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা দামের গরু। বড় গরুও বিক্রি হচ্ছে, তবে বেশি নয়।

এমআই/আরএইচ