করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের আরও দুই হাজার পদ সৃষ্টি করছে সরকার। চলমান ৪২তম বিসিএসের মাধ্যমেই তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। ফলে এ বিসিএসের মাধ্যমে মোট ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ পাবেন। আগের ঘোষণা অনুযায়ী এই বিসিএসের মাধ্যমে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন মৌখিক পরীক্ষা পর্যায়ে আছে।

নতুন করে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগের জন্য আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুই হাজার চিকিৎসকের পদ স্থায়ীভাবে রাজস্বখাতে সৃজনে (তৈরিতে) সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পারসোনেল-৪ অধিশাখার উপসচিব রোকেয়া বেগম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাব কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়। 

এতে বলা হয়, ‘কোডিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) কর্তৃক চলমান ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে আরও দুই হাজার চিকিৎসক (সহকারী সার্জন) নিয়োগের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় নবম গ্রেডের দুই হাজার চিকিৎসকের (সহকারী সার্জন) পদ রাজস্বখাতে স্থায়ীভাবে সৃজনে সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন করছি।’

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এই নিয়োগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্মতি ও অনুমোদন প্রদান করেছেন।

প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় দেশে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিতে গত বছর ৪২তম (বিশেষ) বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৬ হাজার ২২ জন উত্তীর্ণ হন। এরপর মৌখিক পরীক্ষা শুরু হলেও করোনার কারণে দুবার স্থগিত করে পিএসসি।

গত ১৮ জুলাই পিএসসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মৌখিক পরীক্ষা আগামী ১০ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত। 

টিআই/ওএফ/জেএস