দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৬ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৮৪৯ জনে।

এ সময়ে নতুন করে ৮১৩ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৫ লাখ ২৫ হাজার ৭২৩ মোট শনাক্ত। 

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৮৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৪০৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৯৯টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৬০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ লাখ ১৮ হাজার ১১৪টি নমুনা।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার চার দশমিক ৯০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৬ লাখ ৯০ হাজার ১৩৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে সাত লাখ ২৭ হাজার ৯৮১টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৬ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, নারী পাঁচ জন। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং বাকি দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

যারা মারা গেছেন তাদের ৯ জন ঢাকা বিভাগের, পাঁচজন চট্টগ্রামের। বরিশাল ও সিলেটে একজন করে মারা গেছেন।

করোনাভাইরাসে দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৮১৯ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯৫৪ জন পুরুষ। নারীর সংখ্যা এক হাজার ৮৯৫ জন। তাদের মধ্যে চার হাজার ৩১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও এক হাজার ৯৮০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯০৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৮৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৯ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এখন পর্যন্ত যারা করোনায় মারা গেছেন তাদের মধ্যে চার হাজার ৩৪৫ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ৪৪১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৪৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪১ জন খুলনা বিভাগের, ২৪০ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫০ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এসআরএস