দক্ষিণ আফ্রিকায় শোক দিবস পালিত
দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান বলেছেন, ঘাতকেরা চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুকে চিরতরে মুছে ফেলতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মিশে আছেন বাংলাদেশের হৃদয়ে। বাঙালির স্বপ্নে, চিন্তা-চেতনায় আদর্শে।
রোববার (১৫ আগস্ট) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী পালনকালে মিশনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মরণে মিশনে পূর্ণাঙ্গ কোরআন তেলাওয়াত, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল কালো ব্যাজ ধারণ, এক মিনিট নীরবতা পালন, বাণী পাঠ, আলোচনা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াতের পর শোক দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ। বাণী পাঠের পর শুরু হয় আলোচনা সভা।
বিজ্ঞাপন
আলোচনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। বক্তাগণ সবাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সাহসিকতার ওপর দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের কথা তারা সবাই বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম, শিক্ষা, রাজনৈতিক জীবন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা পরবর্তী ২৩ বছর ধরে সাহসী নেতৃত্ব ও অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার ও কারাভোগসহ জীবনের বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির জনক।
হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘাতকেরা বুঝতে পারেনি যে মানুষকে দৈহিকভাবে হত্যা করা যায় কিন্তু জাতির পিতাকে বিনাশ করা যায় না। মৃত্যুর ৪৬ বছর পরেও তাই তার আদর্শ আমাদের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এইচকে