দুর্যোগ সহনীয় ঘর পরিদর্শন করবেন ২৪ কর্মকর্তা
সারাদেশে ১৭ হাজার ঘর তৈরি করে দিচ্ছে সরকার
চলতি অর্থবছরে নির্মিত ও নির্মাণাধীন দুর্যোগ সহনীয় ঘর পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিলে ১২ জেলায় ২৪ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এ দায়িত্ব দিয়ে সম্প্রতি অফিস আদেশ জারি করেছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, মাগুরা, শেরপুর, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, জামালপুর, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী ও খুলনায় দুর্যোগ সহনীয় ঘর পরিদর্শন করবেন ওই ২৪ কর্মকর্তা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ নাছিম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হারুন অর রশিদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিৎ কুমার সেন ও অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. সঞ্জীব সূত্রধরকে রাজশাহী, যুগ্মসচিব আবুল বায়েছ মিয়া ও উপ-পরিচালক মো. নুরুল হক চৌধুরীকে চট্টগ্রাম, যুগ্মসচিব মোমেনা খাতুন ও উপ-পরিচালক সৈয়দা মেহেরুন নেছা কবিরকে মাগুরা, যুগ্ন সচিব এ বি এম সফিকুল হায়দার ও উপ-পরিচালক শিবপদ মন্ডলকে শেরপুর, উপ-সচিব হাবিবুর রহমান ও উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানকে কুমিল্লা, উপ-সচিব শায়লা ইয়াসমিন ও সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদকে সাতক্ষীরা, উপ-সচিব মো. কোরবান আলী ও সহকারী সচিব হাবিব উল্যাকে জামালপুর, উপ-সচিব তাসমীন আরা তাজমিরী ও উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলামকে ফরিদপুর, উপসচিব মো. মজিবুর রহমান ও উপ-পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমানকে নারায়ণগঞ্জ, উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবু ইউসুফ মোহাম্মদ রাসেলকে নোয়াখালী, উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শাহজাহানকে খুলনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কারো এক বা দুই শতাংশ জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘর আছে কিন্তু তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়, তাদের এ ঘর দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া যেসব পরিবারে পুরুষ সদস্য নেই বা পুরুষ সদস্য থাকলেও বয়স ৬৫ বছরের ওপরে এবং নদী ভাঙনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তারা এ ঘর পাচ্ছেন। এছাড়া বেদে ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের এ ঘর দেওয়া হচ্ছে।
নির্দেশিকা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসকরা সুবিধাভোগীদের নির্বাচন করেন।
প্রায় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্না ঘর। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিসটেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা।
সম্প্রতি সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, দেশের প্রতিটি গৃহহীন পরিবার যাতে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। প্রত্যেক ভূমিহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমি দিয়ে সেখানে দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার।
মন্ত্রী জানান, প্রতিটি ঘরের নির্মাণ খরচ প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। বর্তমান অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সারাদেশে ১৭ হাজার পাঁচটি ঘর তৈরি করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা, দেশের কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। সে লক্ষ্যে সারাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৯ লাখ বাড়ি নির্মাণ করে গৃহহীন পরিবারের মধ্যে বরাদ্দের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
এসএইচআর/এসআরএস