সুতিভোলা খালের সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব (খাল ও ড্রেনেজ) আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করার পর নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন দুই মেয়র। খাল পরিষ্কার করার পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে করপোরেশনগুলো।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা সংলগ্ন সুতিভোলা খাল ও কড্ডা খাল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় সকল খালের পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পরিষ্কার এবং দখলমুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

খাল পরিদর্শন করার সময় তিনি বলেন, সুতিভোলা একটি ঐতিহ্যবাহী খাল। কিন্তু আজ খালের পানি প্রবাহ ঠিক নেই। দখল হয়ে আছে, আবর্জনায় ভরপুর। আমরা এ খাল পরিষ্কার করব, জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি খালের পাশে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করব। আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এ খালের পাড় বাঁধানো এবং পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা।

সুতিভোলা খাল ও কড্ডা খাল পরিদর্শনে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম

খাল পাড়ে থাকা সকল অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, যারা খালের জায়গা দখল করে বাড়ি-স্থাপনা করেছেন তাদেরকে আমি বলতে চাই, আপনার সিএস দাগ দেখে নিজে থেকে সরে যান। আপনারা কিন্তু সময় পাবেন না বেশি, সকল অবৈধ স্থাপনা আমরা ভেঙে দেব। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের খালগুলোকে সচল করতেই হবে।

এর আগে রূপনগর খাল পরিদর্শন করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, খালগুলো আমরা পরিষ্কার করেছি। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জন কর্মী কাজ করছে। আশা করা যায় ১৫ দিনে খাল পরিষ্কার করা শেষ হবে। খালের পাড়ে প্রাথমিকভাবে গাছ লাগানো হবে। এরপর কিছু কিছু জায়গায় সাইকেল লেন তৈরি করা হবে।

খাল পরিদর্শনকালে মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলরগণ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এমএইচএস