অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাজধানীর মিরপুর-১১ ও পল্লবীতে অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এসময়ে এলাকাবাসী বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডিএনসিসি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

অভিযানের শুরুতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা কিছু দোকানমালিক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তারা অভিযানের গাড়ির সামনে একত্রিত হয়ে বাধা দেন ও দূর থেকে উচ্ছেদ অভিযান টিমের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম অভিযানে উপস্থিত হয়ে সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন। তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাজধানীর এভিনিউ ৪, মিরপুর-১১ ও পল্লবীতে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালিত হবে।

এর আগে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা ও খাল উদ্ধারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মেয়র আতিকুল।

এদিকে বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর ভাটারা, সাতারকুল, বাড্ডা এলাকায় খাল পরিদর্শন শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। আমার প্রথম কাজ হচ্ছে এসব এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করা। দ্বিতীয় কাজ রাস্তা চওড়া করা। সরু রাস্তাগুলো অবশ্যই প্রশস্ত করতে হবে। এ কাজে আমাদেরকে স্থানীয়রা সাহায্য করছে। আমরা রাজউককে চিঠি দিয়েছি, এ এলাকায় যেন কোনও ধরনের ভবন নির্মাণের প্ল্যান দেওয়া না হয়। আমি কাউন্সিলরদেরকে বলেছি, এ এলাকায় আর যেন কোনও অবৈধ বাড়ি না হয়।

খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন- সিএস, আরএস, সিটি জরিপ যে দাগে খালের জায়গা বেশি পাওয়া যাবে সে দাগ অনুসারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। কারণ খাল যত বড় হবে এলাকার পানি তত সহজে নির্গমন হবে। রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলে কোমড় পানি হয়ে যায়। ইতোমধ্যে এখানে যেসব ড্রেন আছে তা পরিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছি। প্রকল্পে ড্রেনগুলো বড় করার নির্দেশ দিয়েছি। ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্পের অধীনে ২৯ কিলোমিটার খাল পুনরুদ্ধার, পুনঃখনন, পাড় বাঁধাই, সাইকেল লেন, ওয়াকওয়ে ও সবুজায়ন করা হবে।

• এ প্রতিবেদনের পরবর্তী আপডেট : ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার পর মিরপুরে ফের শুরু উচ্ছেদ অভিযান

এএসএস/ওএফ