রেশম শিল্পকে বিশ্বমানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে : পাটমন্ত্রী

রেশম শিল্পকে বিশ্বমানে রূপান্তর করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে পাট প্রোমোশন বিবিধকরণ সেন্টার (জেডিপিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রেশম পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘রেশম ও তাঁত শিল্প বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। বাংলাদেশের রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করে বিশ্বমানে রূপান্তরের জন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এই শিল্পকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘রেশম শিল্প এবং রেশম চাষিদের ভাগ্যোন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন ও রেশম চাষিদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘এই শিল্পের ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে আধুনিকায়ন করা হবে। রেশমের সুতা উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁত শিল্পকে অধিকতর মানসম্পন্ন করে তুলবে। এ জন্য বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।’

কম খরচে উন্নতমানের রেশম কাপড় তৈরি করার জন্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ অপরিহার্য উল্লেখ করে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে বিদেশ থেকে উন্নত প্রযুক্তি আনতে হবে। এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।’

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমদানি করা সুতার ওপরে প্রায় ৬০ শতাংশ করারোপ করার পরও প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না। সুতরাং আমাদের কোথাও না কোথাও প্রযুক্তিগত ঘাটতি রয়েছে। তাই আমাদেরকে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। যাতে আমরা অন্যান্য দেশের চেয়ে ভালোমানের সুতা উৎপাদন করতে পারি।’

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মু. আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, জেডিপিসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, রেশম উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বেসরকারি উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এসএইচআর/এফআর