স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের সিদ্ধান্ত

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।

এ উপলক্ষে রোববার (২৪ জানুয়ারি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরে আসতে হবে। এছাড়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন/প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ জন শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবে।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতিনিধি, অফিস প্রধানরা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতিগুলোর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, এ বছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে অমর একুশে পালন উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচি সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইন অনুষদের ডিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহকে সমন্বয়কারী, সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াকে যুগ্ম-সমন্বয়কারী এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে সদস্য-সচিব করে অমর একুশের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ছাড়াও মহান অমর একুশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়। 

ঢাবি/এসএম