প্রাণী রক্ষার আন্দোলনকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে মনে করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।

তিনি বলেন, প্রাণী রক্ষায় সচেতনতা তৈরির জন্য কী করা উচিত সেটা আমি জানি না। আমাদের যাদের বয়স হয়ে গেছে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা খুবই মুশকিল। যদি প্রাণীদের বিষয়ে সচেতনতা শুরু করতেই হয় তবে আমাদের সন্তান এবং শিশুদের মধ্য দিয়ে শুরু করা উচিত।

শনিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (প ফাউন্ডেশন) আয়োজিত প্রাণবিক বন্ধু সম্মাননা ২০২১ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, প্রাণী রক্ষায় আজ ‘প’ এর মতো একটি প্রতিষ্ঠান আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তাদের সাধ্যেরও সীমাবদ্ধতা আছে। সারাদেশে এই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে দেশে প্রাণী রক্ষায় কিছু আইন নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। ভালো আইন তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রাণীর প্রতি সহিংসতা ঠেকাতে বারবার আমাদের আহ্বান সরকারের কাছে জানাতে হবে। এগুলো সময়ের দাবি, আমাদের অস্তিত্ব বজায় রাখার দাবি। আমাদের জীবনের সঙ্গে যা কিছু যুক্ত হয়েছে প্রাণীকুল থেকে শুরু করে বনাঞ্চল, আমাদের পরিবেশ, আমাদের নদী তা বাঁচিয়ে রাখার জন্য বারবার প্রস্তাবনার দরকার আছে।

অনুষ্ঠানে প্রাণী রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ১১টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২ জনকে সম্মানিত করা হয়।

এবার সম্মানিত হলেন যারা : প্রাণবিক ক্যাটাগরিতে মো. আবু বকর সিদ্দিক (পথ-প্রাণী উদ্ধারকর্মী); পথে পথে প্রাণ রক্ষা ক্যাটাগরিতে রাজশাহীর সুধা রানী ও ঢাকার গ্রেসি পুষ্পিতা সরকার; প্রাণবিক প্রাণী চিকিৎসক ক্যাটাগরিতে ডা. ফাতিহা ইমনুর ইমা (ভেটেরিনারি সার্জন, প লাইফ কেয়ার, মিরপুর); গণমাধ্যমে প্রাণবিকতা ক্যাটাগরিতে প্রবীর কুমার সরকার (ঢাকা ট্রিবিউন); ভেটেরিনারি শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্যাটাগরিতে প্রফেসর ডা. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ (টিম লিড, ফ্লেমিং ফান্ড কান্ট্রি গ্রান্ট টু বাংলাদেশ, ডিএআই); জনস্বাস্থ্য ও পথ-প্রাণী রক্ষা ক্যাটাগরিতে ডা. বে-নজীর আহমেদ (সাবেক পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদফতর); প্রাণবিক বন সংরক্ষক ক্যাটাগরিতে মোল্যা রেজাউল করিম (বন সংরক্ষক), প্রাণবিক নগর পিতা ক্যাটাগরিতে মো. আতিকুল ইসলাম (মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন); প্রাণবিক তারকা ক্যাটাগরিতে জয়া আহসান (অভিনেত্রী) এবং বিশেষ মরণোত্তর সম্মাননা ক্যাটাগরিতে রেশাদ কামাল (আলোকচিত্রী)।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, চিত্রশিল্পী কনক চাঁপা চাকমা, প ফাউন্ডেশনের স্থপতি রাকিবুল হক এমিল প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি