জেঁকে বসেছে মাঘের বাঘ পালানো শীত
মাঘ মাসের মাঝামাঝিতে দেশজুড়ে সত্যিই বাঘ পালানো শীত জেঁকে বসেছে। লাগাতার শীত আর কুয়াশার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ যোগ হওয়ায় কঠিন হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় এ শৈত্যপ্রবাহ চলবে প্রায় সপ্তাহব্যাপী।
শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল দিয়ে। রাজশাহী, রংপুর বিভাগের মানুষ এখন শীতের রাজ্যে বসবাস করছেন। ঠাণ্ডা হাওয়া আর কুয়াশায় ঘর থেকেই বের হওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পরেছে। সূর্যের দেখাও মিলবে দিনের মধ্যভাগে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত রাত থেকে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। এর ব্যাপ্তি সপ্তাহখানেক থাকতে পারে। তাপমাত্রা ৭ এর আশেপাশে নেমে যেতে পারে। তবে এখনই বলা যাচ্ছে না।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যশোরে। শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে- রংপুর, রাজশাহী বিভাগসহ দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে। এবারের শৈত্যপ্রবাহে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। তবে পাঁচদিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসে সামান্য পরিবর্তন রয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় বিশেষ করে নদীর আশপাশে কুয়াশার পরিমাণ বেশি থাকবে। এছাড়া দিনের আলোর দেখা কিছুটা দেরিতে মিলতে পারে।
চলতি বছরের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার ফলে এখন শীতের দাপট অনেকটাই বেড়েছে। বুধবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ এর নিচে পৌঁছে। তবে আজ একটু বেড়েছে। ১৩ দশমিকে গিয়ে ঠেকেছে। ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। এ হিসেবে ঢাকায় এখনও শৈত্যপ্রবাহের দেখা পাওয়া যায়নি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের বৃদ্ধ ও শিশুদের বেশ কষ্টে সময় পার করতে হচ্ছে। কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টির মতো ফোঁটায় ফোঁটায় পানিও ঝরছে অনেক এলাকায়। কুয়াশার এ পানি যেন শীতের দাপট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার আশপাশ এলাকায় অবস্থান করছে। এছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক ছিল উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কি.মি.।
একে/ওএফ